fbpx
২৮শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৭:৩৫

করোনা ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ ঘোষণা করতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান

সবার কন্ঠ ডেস্ক
  • আপডেট : সেপ্টেম্বর, ২৩, ২০২১, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ
  • ১৩৭ ০৯ বার দেখা হয়েছে
করোনা ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ ঘোষণা করতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান
ফাইল ছবি

হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কার্যকরভাবে বিশ্বব্যাপী টিকা দেয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলিকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার।

 

স্থানীয় সময় বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ‘হোয়াইট হাউজ গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট: এন্ডিং দ্যা প্যানডেমিক এন্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার হেলথ সিকিউরিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে পূর্বে ধারণকৃত বক্তব্যে একথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ সেখানে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ভার্চুয়াল এ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

 

তিনি বলেন, কার্যকরভাবে বিশ্বব্যাপী টিকা দেওয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য, করোনার ভ্যাকসিনগুলি ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার।

 

এদিন বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল এ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ভাষণে করোনা মহামারি অবসানে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার জন্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যবসায়ী এবং বেসরকারি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জার্মান চ্যান্সলর এঞ্জেলা মার্কেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা এবং জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস বক্তৃতা দেন।

 

করোনা ভ্যাকসিনক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তৃতায় বলেন, টিকা লাভের সার্বজনীন অধিকার নিশ্চিত করা লক্ষ্যে সক্ষমতা রয়েছে, এমন উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাধ্যমে টিকার স্থানীয় উৎপাদনের সুযোগ দেওয়া উচিত।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনধাপ পন্থা অবলম্বন করেছে। প্রথমত, জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, যন্ত্রপাতি, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং সম্পদ বরাদ্দ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন




 

তিনি বলেন, এ পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে আমাদের নাগরিকদের, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা সুরক্ষায় সহায়তা দেওয়া এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ পুনরুদ্ধার করা। আমরা প্রথমে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং সামাজিক সুরক্ষা নেট কর্মসূচির ওপর দৃষ্টি দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নীতির দিকে মনোনিবেশ করছি।

 

বাংলাদেশের সরকারপ্রধান আরও বলেন, সরকার দ্বিতীয়ত, টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে। যেখানে উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

 

জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং কম কার্বণ নিঃসরণের দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ বরাদ্দ করেছি। দরিদ্র, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীসহ ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন সুবিধাভোগীদের ১৬৬ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করেছি। ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি।

 

‘২০২২ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ লোককে টিকা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি’- সম্মেলনে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন




সংবাদটি শেয়ার করে সবাই কে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত  © ২০২১ সবার কন্ঠ
Design & Developed BY:Host cell BD
ThemesCell