এখন ইলিশের ভরা মৌসুম এই মৌসুমে দাম কমার কথা থাকলেও এখন দাম কমেনি। দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বড় ইলিশের মোকাম রয়েছে বরিশাল নগরীতে পোর্টরোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সেখানে চওড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। দামের কারণে ইলিশের ধারেকাছেও ভিড়তে পারছেন না মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্তরা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম এবং দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানিকেই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বলছেন পাইকার, আড়তদার ও সাধারণ ক্রেতারা।
পাইকার ও আড়তদারদের কাছ থেকে আরও জানা যায় মোকামে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে ওই ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে এক হাজার ১৩৫০ থেকে ১৪০০ টাকা। অথচ গতবছর মৌসুমের এমন সময়ে সেই ইলিশের দাম ছিল ৮০০ টাকা।
ইলিশের মোকাম ঘুরে দেখা যায়, কীর্তনখোলা নদী থেকে ইলিশ নিয়ে নৌকা, ট্রলার, স্পিডবোট এসে ভিড়ছে ইলিশের মোকামের ঘাটে। সঙ্গে সঙ্গে সেসব নৌযানকে ঘিরে ধরছেন আড়তদাররা। করছেন দর কষাকষি। দাম নিয়ে বনিবনা হলে ইলিশ কিনে আড়তের সামনেই স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। পাইকারদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে সেই ইলিশ বিক্রির জন্য ডাকে তুলছেন আড়তদাররা। এরপর সাধারণ ক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা সেই ডাকে অংশ নিয়ে কিনছেন ইলিশ। তবে ইলিশ কেনার দিক থেকে সাধারণ ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের চেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররাই সাধারণত এগিয়ে থাকেন। এরপর ক্রয় করা ইলিশ ককশিটে বরফ দিয়ে প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। সেই ইলিশের প্যাকেট পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
পোর্টরোড মোকামের মেসার্স আব্দুল্লাহ মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী ও জেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জহির সিকদার জানান, অন্যবারের মতো এবছর নদনদীতে তো দূরের কথা, এই ভরা মৌসুমে গভীর সাগরেও ইলিশ মিলছে না। যা ধরা পড়ছে তার বেশির ভাগই ছোট আকারের। অন্যদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে প্রতিদিনই ইলিশের চাহিদা বাড়ছে। রপ্তানিকারকরা প্রতিদিন এ মোকাম থেকে ৪০০ মণের মতো ইলিশ কিনছেন। এছাড়া ঢাকা, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররাও এই মোকাম থেকে ইলিশ কিনতে আসেন।
(২৫ সেপ্টেম্বর) শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোকামে ইলিশ আসে ৫০০ থেকে ৬০০ মণ। তবে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। তাই ইলিশের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে ভারতে ইলিশ রপ্তানির ঘোষণার আগেও দাম কম ছিল বলেও জানান তিনি।