নলুয়ার কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদষ্টা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ঘনিষ্ঠ সহচর, ভাষা সৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীরমুক্তিযোদ্ধা, নারায়ণগঞ্জের উজ্জ্বল নক্ষত্র, বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমদ খোকার আজ ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য জনমানুষের প্রানের নেতা, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান বিনম্র শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন।
শামীম ওসমান বলেন, আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমদ খোকা চাচা এবং আমার পিতা এ কে এম শামসুজ্জোহা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি রাজনৈতিক কারণে আমাদের বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। আমি এবং আমার দুই ভাই ও দুই বোন তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতাম। রাজনীতিক কারণে খোকা চাচা এবং আমার পিতা প্রায়ই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বর বাড়িতে যাতায়াত করতেন এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ এসে সেই মোতাবেক কার্যক্রম চালিয়ে যেতেন। ১৯৬৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খোকা চাচা। ছয় দফা আন্দোলনে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ টাউন হল বর্তমান জিয়া হল ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে এনে এক বিশাল জনসভা আয়োজন করেছিলেন। এখানে সমাবেশ করে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন সামরিক জান্তা সরকারের হাতে গ্রেফতার হন। সেই সময় খোকাচাচা ও একই মামলায় গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন। মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদ খোকা চাচা নিজ কর্মে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র।একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, স্বাধীনতার আগে এবং পরে বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে সকল ব্যবসায়ী দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নে তিনি জীবনদ্দশায় বহু স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা তৈরি করেছেন। একজন সংগঠক হিসেবে তিনি আমাদের এই সমাজকে অনেক বিকশিত করেছে। আজ তার ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এই নেতার প্রতি জানাই আমি বিনম্র শ্রদ্ধা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে বেহেশত নসিব করুন, আমীন-