সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ৭:২২ পূর্বাহ্ন
Shahalam Molla
  • আপডেট : মার্চ, ৩০, ২০২৪, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ২৩৭৩৩ ১৯ বার দেখেছে

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না বেবীর

আমাকে বাঁচান, আমি বাঁচতে চাই

সবারকন্ঠ প্রতিনিধি
  • আপডেট : নভেম্বর, ২৬, ২০২২, ১০:০১ অপরাহ্ণ
  • ১৫৮ ১৯ বার দেখেছে
আমাকে বাঁচান, আমি বাঁচতে চাই

আমি গরীব মানুষ। চিকিৎসা করানোর মতো এতো টাকা আমার কাছে নেই। ডাক্তার বলেছিল অপারেশন করাতে পারলে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবো। আমি এখন ব্যাথার জ্বালা আর সহ্য করতে পারছি না। আমি হয়তো আর বেশিদিন বাঁচবো না। আপনারা আমাকে যেভাবেই পারেন, বাঁচান। আমি বাঁচতে চাই।

 

কান্নাজড়িত কন্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার মৃত আব্দুল জব্বারের মেয়ে মোসাঃ বেবী (৩০)। বিয়ের পর তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকায় থাকতেন। তার স্বামী মানিক মিয়া লোড-আনলোডের কাজ করতেন।

 

এই কাজে তাদের সংসার না চলায় তিনি মানুষের বাসা বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতেন এবং পাশাপাশি কাঁথা সেলাই করে টুকটাক উপার্জন করতেন। তাদের সংসারে ১০ বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে। ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন অবস্থা ছিল তাদের। দুজনের ক্ষুদ্র উপার্জনে এভাবেই চলছিল তাদের সংসার।

 

কিন্তু গত ৫ বছর পূর্বে পাইলস রোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর থেকেই তার সংসারে দূর্যোগের ঘনঘটা নেমে আসে। নিমেষেই তার সকল আশা-আকাঙ্খা শেষ হতে থাকে। চিকিৎসা খরচের ভয়ে তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যান।

 

এদিকে টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় তার ১০ বছর বয়সী মাদ্রাসা পড়ুয়া সন্তানের। অর্থাভাবে সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা বাড়িটি ছেড়ে দিয়ে তাকে এখন থাকতে হচ্ছে তার বড় বোন ময়নার যাত্রাবাড়ির কাজলা এলাকার ভাড়া বাড়িতে।

 

অসুস্থ বেবীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ৬ মাস পূর্বে ঢাকার শ্যামলী হাসপাতালে ১২ হাজার টাকায় ছোট একটি অপারেশন করা হয়েছিল তার। অপারেশনের পর ডাক্তার তিন সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় তাকে আরেকটি অপারেশন করাতে বলেছিলেন।

 

 কিন্তু এই অপারেশনটি ব্যায়বহুল হওয়ায় তার পক্ষে অপারেশনটি করা সম্ভব হয় নি। তখন থেকে ব্যাথার ঔষুধ খেয়ে কোনোমতে কাজ করতে পারতেন তিনি। তবে তার ব্যাথা এখন এতোটাই বেড়েছে যে তার আর কোনো কাজ করাই সম্ভব হচ্ছে না।

 

তার বড় বোন ময়না জানান, আমি গরীব মানুষ। দুটি সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে ঢাকার কাজলায় বসবাস করি। টাকার অভাবে আমার নিজেরই ঠিকমতো সংসার চলে না। দুমুঠো খাবার হয়তো বোনকে দিতে পারবো কিন্তু আমার বোনের চিকিৎসার খরচ আমি কিভাবে পাবো?

 

ওষুধ খেয়ে আর কতোক্ষণ ভালো থাকা যায়? এখন আমার যে অবস্থা হয়েছে টাকার অভাবে প্রতিদিনের ওষুধও কিনতে পারছি না। ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত অপারেশন করতে না পারায় আমার বোন এখন ব্যাথার জ্বালায় কাতরাচ্ছে।

 

এ অবস্থায় তিনি সমাজের বিত্তবান, হৃদয়বান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। কেউ যদি সহায়তার হাত বাড়াতে চান তাহলে উক্ত মোবাইল নাম্বারে (০১৯৩৫৫৬৮৪৫৯) এ         যোগাযোগ করার বিনীত অনুরোধ করেন বেবি।

 

 

 

সংবাদটি শেয়ার করে সবাই কে দেখার সুযোগ করে দিন
      
 
   

এ খবরটি আপনার বন্ধুকে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2020 sabarkantho
Design & Developed BY:Host cell BD
asterpress